অধ্যায়--80
শ্বাস বৃক্ষ
একবার এক্সরে-টার দিকে তাকাও--- দেখতে পাচ্ছো, ঘন জঙ্গল। চারদিকে সবুজ ধানের খেত। একটা গোরু আলস্য ভরে ঘাস খেতে খেতে লেজ নাড়িয়ে মাছি তাড়াচ্ছে। সূর্য অস্তাচলে। একটা দু টো মেঘ আকাশে ভেসে যেতে যেতে পরস্পর মিশে যাচ্ছে। হুম, তুমি ভাল করে তাকিয়ে দেখ, এসব একেবারেই সাধারণ দৃশ্য না?
অপরদিকে এটা কী দেখত! দৈত্যাকার এক জঙ্গল কাটা যন্ত্র। নতুন অট্রালিকা। কেমন একটা যেন দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা না? তুমি কি গাছ নিধন যজ্ঞের আকাশ ভেদী আওয়াজ শুনতে পাচ্ছো? বুঝতে পারছো না, যন্ত্রটা দানবের মতো বিকট আওয়াজ করছে।
পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হচ্ছে। আতস কাচের তলায় দেখার মতোই স্বচ্ছ-- ফুসফুস কর্কট রোগ। একটা ব্রঙ্কোস্কোপি করে দেখে নাও । যন্ত্রটা একেবারেই অকেজো হয়ে গেছে। এইতো ক'দিন আর আয়ু। বড়জোর তিন থেকে ছ'মাস।
সূত্র
বন্ধুদের কাছে সে দাদা বলেই পরিচিত। চোখে পড়ার মতো তার লম্বাটে চুল, লম্বা দাড়ি।
লোকে বলে উনি নাকি এই চুলগুলো প্রতিদিন একটা পাগড়িতে বেঁধে রাখতেন। কিন্তু একদিন যেদিন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আরেকজন পাগড়িধারী গুলি করে মেরে ফেলল সেদিন ওর উপরে কলকাতার মানুষ হামলা করেছিল এবং তখন থেকেই সে তার লম্বা চুলটি পাগড়ি তে না বেঁধে খোলাই রাখতেন।
এই সেই শহর কলকাতা, যেখানে সামান্যতম বাহানায় আদ্যিকালের ট্রামের উপর উত্তেজিত জনতা হামলে পড়ে পুড়িয়ে ফেলে(ট্রামের ভাড়া বৃদ্ধি এর মধ্যে একটা কারণ। )
সত্যি কথা কী, দাদা সেদিন থেকে একেবারেই পাল্টে গিয়েছিল। মৌলবাদীদের ছড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়ার ছাপ তার মুখের উপর পড়েছিল। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে কয়েকবছরের মধ্যে সমস্ত ব্যাপারটা তাকে সংকীর্ণতার বাইরে বের করে নিয়ে এল।
সে হিপ্পি চুল রাখল। ধূমপান শুরু করে কারখানার চিমনির মতো ধোঁয়া ছাড়তে লাগল(যদিও তার ধর্মে ধূমপান নিষিদ্ধ ছিল। )
মানুষটা একেবারেই পাল্টে গেল।
হিপ্পি গজাবার সাথে সাথে দাদার মধ্যে একটা নতুন প্রতিভা দেখা গেল। সেটা হল কবিতার প্রতি তার অনুরাগ এবং চেতনা। এরপর থেকে দাদাকে প্রায়শই প্রেসিডেন্সি কলেজ ক্যাম্পাসে অনর্গল চেতনা প্রবাহের মত কবিতা পাঠ করতে দেখা যেত.
জুনের সঙ্গে দাদার প্রথম আলাপ হয়, যখন জুন একজন জুনিয়র ডাক্তার এবং দাদা তখন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার সদ্য শ্বাসযন্ত্রের পরীক্ষায় বেশ কৌতূহলজনক কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। সেটা হল তার শ্বাসযন্ত্রের উপরের ডানদিকে কোনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত হয়েছে। স্টেথো বসালে বিকট শব্দ শোনা যায়।
আবাসনে থাকাকালীন জুন এই কেসটার ব্যাপারে গভীর ভাবে স্টাডি করেছিল। সে রোগীর সঙ্গে হামেসাই আড্ডা দিত। কিন্তু অম্রিন্দর সিং দাদার ডায়েরিতে লেখা লাইন ক'টা পড়া হয়নি---
গতরাতে আমি আবিষ্কার করলাম, আমার শ্বাসবৃক্ষে আঙুরের মতো থোকা হয়েছে। লম্বাটে বিশ্রী দেখতে। এরা আমার রক্ত চুষে খেয়েছে....এই গাছ ভ্রমণপিপাসুদেরকে প্রখর রোদে মাথার উপর ছায়া দেয়। আর বেশি কিছু না...পাতা ঝরে,
প্রতিটা কাশি যেন আমার ভিতরে ভয়াবহ ঝড় তুলে থোকাগুলোকে বোঁটা থেকে নাড়িয়ে দেয়।
More about the translator in the link below :
Original English version :
The Bronchial tree
"Take a look at this chest x-ray…Hmm dense forests bordering on green rice fields
A cow munching grass, lazily waving away the flies, the setting sun, and one or two clouds
interspersed …Hmm looks normal-show the other one. What’s this! A giant jungle mower, Concrete
new buildings-all cooped up look alike? Hey can you hear the trees crashing!
Can’t make out – over here the mower’s creating a din. Hmm see anything more?
A lot of alveolar opacities which is probably the smoke from our upcoming power plant…
Hmm the diagnosis is clear—Lung cancer. Get a bronchoscopy but the prognosis is bleak
At the most 3-6 months--Sutra"
He was known as Dada to his friends. He had remarkably long
hair for an Indian along with a long beard.
They say he used to religiously tie it in a turban once everyday before they attacked him mercilessly one day when the prime minister died, killed by another person with a turban. That day there were countless such victims in the roads of Kolkata. It's a city where outdated Government tram-cars are usually torched by violent mobs at even lesser pretexts (the price hike in the tram ticket being one such routine stimulus).
Dada was transformed that day not only because of the hideous gash inflicted on his face by a religious fanatic but strangely the whole experience made him very unkemptly irreligious in the years to come.
He let his hair down like a hippie and started smoking like a chimney (smoking was strictly forbidden in his religion). Another development that was totally unlike Dada in his pre-hippie days was his fascination for poetry. He was a permanent fixture on the Presidency college campus spouting a free flowing stream of consciousness verse that would intimidate even the utmost post-post modernists.
June came to know him only as a solemn retired professor of chemistry from Punjabi university, introduced to her by the senior resident as one with interesting findings on his chest, a respiratory case that would be surely kept for her ensuing clinical exams if available at that time. Sure enough there was a bulge at the right upper part of his chest that was dull on tapping and there was a hollow sound on putting the steth. A mass lesion is the most likely morphologic diagnosis thought June. She had become quite deft in her handling of cases during her residency years.
She chatted with her patient as always but couldn’t find time to read what Amrinder Singh 'Dada' had written in his diary.
Last night I discovered the fruits of bronchogenic carcinoma growing on my bronchial tree.
Ugly and slimy it tasted of blood and phlegm. This tree…had long been a source of shade for travel
weary souls amidst sun burnt fields. Not any more…falling leaves, shriveled bark, ugly nodular fruits
with a slimy sauce. With each and every cough it shakes from its very roots caught in a raging storm.
Image from https://en.m.wikipedia.org/wiki/Lung#