Sunday, July 17, 2022

The Decision tree Chapter 40 অধ্যায়-- 40 সিদ্ধান্ত বৃক্ষ

অধ্যায়-- 40

 সিদ্ধান্ত বৃক্ষ

যেকোনও মানুষই একদিন গাছ হতে চায়। এর কারণ হল, মানুষ নামক দ্বিপদ বুদ্ধিমান  প্রাণীর ভিতরটা গাছে পরিপূর্ণ। গাছের মতো সাজানো কোষেদের তারা বহন করে। সুষুম্না কাণ্ডের কথা ভাবা যাক, চামড়া আর পেশীগুলোর তলায়,  মস্তিষ্কের উৎস থেকে বেরিয়ে কী অদ্ভুত রকম ভাবে ডালপালা বিস্তার করে রয়েছে। কিংবা শ্বাসযন্ত্রের কথাটাই ভাবো না। কিভাবে দু'খানা ফুসফুস বায়ুথলিতে পরিপূর্ণ রয়েছে। অথবা শিরা-ধমনী, দেহযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধতন্ত্রের কথা ভাবো।বলতে গেলে দেহে এরকম অসংখ্য গাছ রয়েছে। 

এছাড়াও আমাদের জীবনে সিদ্ধান্ত বৃক্ষ  বলেও কিছু একটা রয়েছে। 

সে গাছ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আমরা আমাদের প্রত্যাশার পাখিদের অনুসরণ করে ছুটি। 


অধ্যাপক হ্রদের চারপাশটা তাদের দেখাছিলেন। পাখি চেনাচ্ছিলেন। পরিযায়ী পাখি। এরা শীতের সময় এখানে জড়ো হয়। কতরকম রঙবেরঙের জলজ প্রাণীরা হ্রদের জলে সাঁতার কাটছে। আর পাশের জঙ্গলটায় ভিন্ন ভিন্ন আকারের নানান কিসিমের জীবের বিচরণ।


চেতন একটা মিষ্টিমধুর ধাতব আওয়াজ শুনতে পেত। 

'আহ! এই সেই বসন্ত বউরি। কাঠ ঠোকরার মতো আওয়াজ তুলছে।' অধ্যাপক বিস্ময়ভরে একটা লালা হলদে ঠোঁটের পাখিকে দেখিয়ে কথাটা বললেন। 


চেতন ছোট্ট পাখিটার দিকে তাকিয়ে থাকত। পাখিটা চড়াই পাখির চাইতে কিছুটা বড়। চোখের চারদিকটা অদ্ভুত ধরনের লালাভ। ICUতে বসে জুন সেসবের স্মৃতিচারণ করত। 


চেতন পাখিটাকে অনুসরণ করছিল, যতক্ষণ না সেটা চোখের আড়াল হচ্ছে। কিন্তু অধ্যাপক একটা শাখায় অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে নিশ্চিত ভাবে শেষবারের মতো পাখিটাকে দেখা গিয়েছিল।  


অধ্যাপক বললেন, 'আমরা হলাম ভবঘুরে। আমরা এলোমেলো অবিন্যস্ত ভাবে চলে  অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহায় বার্তা পাঠাই।  ধান খেতে, মাঠ পেরিয়ে, পাহাড়ের পাশ দিয়ে হেঁটে এগিয়ে যেতে যেতে আমরা দূর্গম পথ ধরে এগিয়ে চলি। 


প্রতিটা দিন আমরা ভালভাবে বাঁচার প্রত্যাশা নিয়ে চলতে থাকি। কোনও নতুনের সন্ধান পেয়ে কিছুটা আনন্দ পেতে।


যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক, আমাদের চলন কখনও থামবে  না। হয়তো যখন যেখানে ইচ্ছে হবে, এক দুদিন বিশ্রাম নেব। আর স্বপ্নের সেই শ্রতিনন্দন মৃদু আওয়াজ উপভোগ করব।


সে আনন্দ আমাদের জীবনে কালো সাদা প্যাকেটে ভিন্ন ভিন্ন রঙ বয়ে আনবে। আমাদেরকে শ্রুতিমধুরতায় ভরিয়ে তুলবে। 


চেতন বিস্ময়াপ্লুত হয়ে ছাত্রদের সামনে অধ্যাপকের ব্যক্ত করা কবিত্ব ভাব উপভোগ করছে। 


নতুন আর পুরনোরা একই ভাবে জীবনের বহতা ধরে রাখবে। শান্ত, নৈশব্দিক রাতে পাতা খসার শব্দ, পাখি ওড়ার শব্দ শুনতে শুনতে তারা খুব কমই থামবে।


অনেক সময় আমরা ক্ষুধা, তৃষ্ণা, প্রক্ষোভিক তাড়না মেটাতে নিরাশ হয়ে ঘুরে বেড়াই।

 

জটিলতায় ভরা বিস্ময়কর স্নায়ুতন্ত্রের সূক্ষাতিসূক্ষ ধরনের কথা ভাবতে গিয়ে আমরা যদি পিছনে ফিরে তাকাই, তাহলে সহসা আমাদের কাছে পছন্দের পথটা সুগম হয়ে ওঠে। যেন কোনও এক  দৈত্যাকার ওক গাছ তথ্য ভাণ্ডারের জানালা থেকে আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে--- সেই ভবঘুরের কথা আমাকে ভাবতে শেখাও, যে কিনা সুদূর বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যাওয়া বীজে নিহিত।

“All humans aspire to be trees one day, perhaps because they are trees inside. Each and every one of them carries cells arranged in a tree like pattern. Look at the spinal cord, how it blossoms into the skin and muscles in our body from the roots of our brain, or the bronchial tree blooming alveoli forming two full lungs or the arteries, veins or lymphatics, the list of our trees within seems endless. Then there is the decision tree of life where we follow our birds hopping from branch to branch hoping we can keep pace with the growth of that tree.” 

The professor was showing them around lakeside introducing them to a lot of birds, which collected there in the winter.

There were plenty of colorful waterfowls swimming and on the trees in the jungle near the lake were even more colorful characters in all shapes and sizes. 

Con could hear a particularly interesting call like that of a person hitting on a piece of metal. “Ah! That’s the copper smith”, remarked the professor and excitedly pointed towards a patch of crimson yellow. 

Con could see a small bird just bigger than a sparrow with peculiar red-rimmed specs around its eyes that somehow reminded him of June in the ICU. 

Con began following the bird from one branch to the other until he lost it but found the professor waiting for him at one branch where he was sure he had last spotted the bird. 

The professor resumed, “I am a wanderer, a non-linear input signal in a network, static in a dungeon, yet marching on an un-trodden path, through jungles, rice fields and obscure Mountain passes. 

Each day I trudge along in the hope of a better life, some visual delight or the other, a newfound titillation or rediscovered magic. 

I have not ceased to travel, in spite of heavy odds. Rest yes, for one or two days whenever I felt like it, but my faithful dream was to listen to that melodious stream. The joy within us, which comes in all colors and black and white packets, sometimes they have a package insert describing their mellifluous qualities, sometimes none at all.” 

Con looked at him bewildered at this sudden poetic contemplation of the professor with the students also nowhere in site. 

“Young and old alike carry this stream all their lives, yet scarcely do they ever pause to listen, the sounds of a falling leaf, the raptures of a flight of birds and the gentle descent of a gliding night. 

Many a times have I despaired at the wanderer in me, is it purely a quest born out of hunger and thirst, something physiological underlying the emotional desire for more. 

I pause to look back and marvel at the immense complexity, the branching patterns and arborizations my chosen path unfolds, like the giant oak tree, which greets me from one of the windows of our library…Makes me think of the wanderer that was within its long forgotten seed.”


In public domain here : https://commons.m.wikimedia.org/wiki/File:Manual_decision_tree.jpg#mw-jump-to-license

Tuesday, July 12, 2022

Team suggestions for Conscious Notebook translations

Suggestions on Samsara's  name from chapter 3 :


[7/5, 9:32 PM] : One welcome change, he has replaced 'con' with চেতন।

Same way সামসারা doesn't mean anything in Bengali.  The bengali word is সংসার।
রবীন্দ্রনাথের লেখাতে সংসার বাবু নাম পড়েছি। 
But if you think that's very old fashioned, a synonym can be used.

 Like সৃষ্টি/ বিশ্ব/পৃথ্বী/ জগৎ

Truly speaking biswo is not the meaning of samsara, it's ব্রহ্মাণ্ড।
জগত সংসার মানে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড।

[7/5, 10:16 PM] : Shei brahmando bole karur naam shona jai na tai hoito kintu amar mone Brahmando tao kharap jombe na

Chapter 3: Brohmander golpo 

Kintu Brahmando Sen? Sheta kemon shothik jomchena. 

Better not write সহজাত for inherited diseases.
We write বংশগত for hereditary diseases and জন্মগত for congenital diseases in bengali. 
We usually write সহজাত for immunity. 

Like  in Mahabharata Karna had সহজাত কবচ কুণ্ডল।

Link to chapter 3: 


Chapter 50:

প্রথম দিকটা খুব একটা সাবলীল নয়। এতো আক্ষরিক ?
ভাবনা আত্মস্থ করে নিজের ভাষাতে লিখতে হবে। নইলে নীরস গতিহারা মনে হবে।

Link to chapter 50: 


Chapter 55:

Interesting shell : khola na bole Jhinuk?

এখানে visualize এর অনুবাদ করা হয়েছে 'নজর কাড়তেই দেখতে পেত'  !

মানসচক্ষে হবে ? বা কল্পনার চোখে?
 

পদক্ষেপ মানে পা ফেলা।
'পদক্ষেপ ফেলা' লিখলে সেটা অশুদ্ধ?

Pilgrim এর বাংলা শরণার্থী কেন?
পূণ্যার্থী বা তীর্থযাত্রী

Link to chapter 55: 


Chapter 56:

গাছ প্রতিক্রিয়াশীল?
অনুভূতিপ্রবণ!

forest fire বাংলাতে দাবানল! 
'জঙ্গলে অগ্নিকান্ড?


রক্ত শোধনের জন্য সে তার পাকযন্ত্রে থলি ব্যবহার করতে শিখে গেছে। 


Suggestion: 

অন্ত্রের আবরণী ঝিল্লির সাহায্য নিয়ে শরীরের বর্জ্য পদার্থ শোধন

যদিও সেটা কিডনির মতো এতটা ............
..প্রতিদিন তাকে চার ব্যাগ বর্জন তরল বের করে পাকযন্ত্রের থলিতে স্থানান্তরিত করতে হয়। এবং প্রত্যাশিত ভাবে ক্ষতিকারক   পদার্থগুলো তার ফলে নিষ্কাশিত হয়ে যাচ্ছে, যা কিনা তার কিডনি যন্ত্রের করার কথা ছিল।

Suggestion:
 
বর্জন তরল ? তরল বর্জ্য  হবে।

Link to chapter 56:


Chapter 59:

ছ্রিস!!

শ্রীশ lekha jete pare.  
এটাও কৃষ্ণের নাম!

Another small suggestion from my side, দীর্ঘাঙ্গী  is a feminine adjective. That can't be written for a male like Krishna.
Can write লম্বা বা দীর্ঘদেহী।


Link to chapter 59:


Chapter 59 Bengali

 অধ্যায়-- 59


রাসায়নিক স্বাতন্ত্র্যের খোঁজে



আমাদের রাসায়নিক স্বাতন্ত্র্যের মধ্যেই বিশেষত্ব এবং ত্রুটিগুলি রয়েছে। এই বিশেষত্ব শারীরিক  সমস্যার প্রতিরোধের বিশেষ প্রবণতা  তৈরি করছে। যাকে আমরা সহজাত রোগ বলে থাকি, সেসব আমাদের বিশেষ বিশেষ রাসায়নিক শৃঙ্খলের মধ্যেই নিহিত থাকে। এমনকি দৈহিক পারমাণবিক গুচ্ছবাঁধনের মধ্যেও তা নিহিত, যা আমাদের রাসায়নিক স্বাতন্ত্র্যের জন্য দায়ী। যা ক্রোমোজোম তৈরিতেও মুখ্য ভূমিকা নেয়, যা থেকে আমরা জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি।


A E Garrod


জুন অধ্যাপকের বিশেষ ধরনের শারীরিক নমনীয়তা যতই দেখছিল, ততই বিস্মিত হচ্ছিল।

তার কর্মক্ষমতা একেবারেই ভিন্ন ধরনের।  পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল সংযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যেকের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া।

প্রোটোকল এবং সিদ্ধান্ত বৃক্ষের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জুন মেডিক্যাল স্কুলের বেশির ভাগ 

দিন কাটিয়েছিল, সেসব স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। বিশেষ করে অধ্যাপক জোটম্যানের কথাগুলো তার কাছে অদ্ভুত মনে হয়েছে। সেইসঙ্গে সহজতর এবং কম মানসিক চাপ নিয়ে দুর্বোধ্য বিষয়গুলোকে আয়ত্ত করেছে, অথচ কিনা ডাক্তারি বইগুলোতে সব রোগীকে একই ধরনের রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতির বর্ণনা লেখা থাকত। 

'তোদের কাছে ব্যাপারটা দ্ব্যর্থবোধক মনে হয় না?' সহপাঠি ভাল বন্ধু ক্রিসের কাছে জুন জানতে চেয়েছিল(ক্রিসের পুরো নাম কৃষ্ণ)।  শ্যামলা, দীর্ঘাঙ্গী যুবক ক্রিসের সঙ্গে জুনের প্রায়শই ক্যাণ্টিনে আলাপ হতো। 

'কী বললি?" ছ্রিস জানতে চাইল।  (কোনওখানে ক্রিসকে ছ্রিস-এ বদলে নেওয়া হল।) তার মনোযোগ তখন কমিউনিটি মেডিসিনের পরীক্ষার নোটপত্রে। 

সে তখন শৌচাগারের বিভিন্ন বিষয় মনে করার চেষ্টা করছিল।

বিশ্বের সর্বজন স্বীকৃত রোগ প্রতিরোধের উপায়গুলোকে মনে করার চেষ্টা করছে।

জুন আবার বলল,

'বেশ, তোর কাছে তাহলে ব্যাপারটা দ্ব্যর্থবোধক মনে হচ্ছে না। যে পেশায় প্রত্যেককে পৃথক পৃথক ভাবে যত্ন নেবার সংকল্প নিয়ে এসেছিলাম, সেটা আমরা খুব কমই করছি।'

একজন তৃতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীহিসেবে জুনের পক্ষে প্রতিদিন বিছানার পাশে বসে শেখাটাকে পাত্তা দেওয়া উচিত নয়। অন্য সহপাঠীরা করিডোরে স্যারের কাছ থেকে নিত্যদিনের কেস স্টাডি নেবার জন্য অপেক্ষা করছে। কাউকে কফি ক্লাবে নতুন কোনও কেস নিয়ে কিংবা বাজারে নতুন কী ওষুধ বেরিয়েছে, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে দেখা গেল না। জুন নিজের জন্য নিজেই কেস স্টাডি খুঁজে নিতে একা কোনও শুয়ে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষমান রোগীর কাছে গেল,

'শোন, আমি একজন ডাক্তারি ছাত্রী। তোমার সমস্যাটা কী, জানতে এসেছি।' সে সেই রোগীর ফোলা পেটের কী সমস্যা সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগল।

More about the translator in the link below :


Chapter 59




Quest for Chemical Individuality


"To our chemical individualities are due our chemical merits and shortcomings. The factors which confer upon us our predispositions to and immunities from various mishaps which are spoken of as disease are inherent in our very chemical structure and even in the molecular groupings which confer upon us our individualities and which went to the making of the chromosomes from which we sprang." 

AE Garrod



June watched and marveled at the professor's unique flexibility, his ability to work at many different levels simultaneously and establishing individualized care rather than a blanket protocol. Protocols and decision trees were what June spent most of her days memorizing in her medical school and professor Joatmon's approach struck her as peculiar. At the same time she found this easier and less taxing and began to seriously doubt her medical school texts that treated all patients with one diagnosis in the same manner. "Don't you find this ironic?" She asked her batch mate and best friend Krish (shortened from Krishna). Krish was a tall dark handsome guy frequently spotted with June in the canteen.

"What?” Asked Chris, somewhere down the line Krish had been nominally transformed into Chris). He was trying to concentrate on the material for the community medicine exams, trying to memorize the dimensions of a sanitary toilet along with mugging up a lot of info (facts and figures) on strategies for disease prevention on a global scale. June continued, "Well, don't you think it's ironic that a profession so very devoted to the care of individuals should care so little about individuality."

As a third year medical student, June wouldn't bother to wait for the bedside teaching to start everyday. That was unlike her other batch-mates loafing in the corridors, presumably waiting for their professor to allot them a case, who would very often be found at the coffee club, busy discussing the latest bit of evidence on the efficacy of a newly launched drug. June would rather allot herself her own cases for the day by simply walking up to any of the individuals lying in their beds waiting for deliverance. "Hi! I am a student doctor and I want to know what your problems are?" she started off with a particularly emaciated man with a distended belly.


"I am hungry." he replied.




Chapter 56 Bengali

অধ্যায়-- ছাপ্পান্ন


চেতনায় সংযুক্তিকরণ



অধ্যাপক জোটম্যান শুরু করলেন, 'দেহযন্ত্রের সাধারণ নিয়মে কাজ না করাটা জানতে গেলে তোমাকে আগে জানতে হবে যন্ত্রটি সাধারণত কিভাবে কাজ করে। সেজন্য তুমি এতগুলো বছর এর জটিল প্রক্রিয়া বিষদে জানতে কাটিয়েছ। স্বভাবতই দেহাভ্যন্তর সম্পর্কে যা জানা গেল, তার থেকে আরও অনেক কিছু রহস্য এতে রয়েছে। এই দেহযন্ত্রের বাইরে যা রয়েছে, সেটাও সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কী করে সেটি বাইরের পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে সর্বদা প্রতিক্রিয়া দিয়ে চলেছে। এ যন্ত্র সম্পর্কে এতটা বিস্তারিত ভাবে কেন জানা দরকার...এর মধ্যে অভূতপূর্ব রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। এর পঞ্চ ইন্দ্রিয় সৃজনশীল সত্তাকে কর্মক্ষম রাখে, প্রতিবেশী কোনও যন্ত্রের সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে ভাব বিনিময় করে, যোগাযোগ রাখে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, এই বৃহৎ যন্ত্রের কর্মক্ষমতার আড়ালে রয়েছে অসীম রহস্য, অনেকটা একটা ব্রহ্মাণ্ডের মতো, প্রতিবেশী ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যেও একই কর্মকান্ড অবিরত ভাবে চলছে। 

ডাক্তারীর মাধ্যমে কেউ এর অসীমকে প্রত্যক্ষ করছে, ব্যাপারটা অনেকটা একটা  ঘন জঙ্গলের একটা মাত্র গাছের প্রতি নজর না দিয়ে গোটা জঙ্গলটাকে নখদর্পনে রাখার মতোই।'
জোটম্যানের চোখ সেই স্বপ্নে বিভোর। "গাছ-- গাছ--- বুঝলে ব্যাপারটা। শরীর তত্ত্বের জগতে যেদিকে তাকাবে, শুধুমাত্র গাছই
দেখতে পাবে। এর জন্য তোমার একটা অনুবীক্ষণ যন্ত্র দরকার, কিংবা দূরবীন, তুমি সেটাকে যে নামেই ডাকো না কেন। বহু কষ্টে সেই ক্ষুদ্র পৃথিবীর পেশীগুলোর গভীরে নজর দাও। গাছেরা হল প্রতিক্রিয়াশীল। সময়ের সঙ্গে ওঠানামা, এগোনো-পিছনো করছে, আনুবীক্ষণিক নানাবিধ কণারা আসছে, ঠিক যেমন গোধূলি লগ্নে পাখিরা বাসায় ফিরছে। চেতন যন্ত্রের কাজ হল এর সত্য উদঘাটনের সামান্যতম প্রচেষ্টা। সমস্যার সমাধানের জন্য তোমাদেরকে এই যন্ত্রের আরও অনেক কিছু নজরে রাখতে হবে।
যখন তুমি এই পৃথিবীর অভ্যস্তরের সত্য উদঘাটন করতে পারবে, তখন এই ব্রহ্মাণ্ডের আচরণ নিয়ে ভাববে। এর রহস্য কোথায়, অস্তিত্বের উদ্দেশ্যেই বা কী। 
যন্ত্রের মধ্যে চেতনা রয়েছে। যেটি প্রতিনিয়ত মৃত্যু এবং জীবনের অভাব, অভিযোগ, অপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। প্রতিদিনের চাহিদামতো উদর পূরণের মধ্যেও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। 
চেতন তার যন্ত্রটিকে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কিংবা রোগের কারণে স্বাভাবিকতা হারিয়েছে। তবুও তার  সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও নিত্যদিন চালিত করেই চলেছে। 

এসবই হল আমাদের নিত্যদিনের রোগীরা, যাদের যন্ত্রকে সারাই করে স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা করছি। প্রয়োজন মতো কখনও বাহ্যিক কোনও যন্ত্রানুসঙ্গ যোগ করে দিচ্ছি, যাতে তারা জীবনটাকে স্বাভাবিক ভাবে চালিত করতে পারে। 

আজ একজন বিশ বছরের মেয়ে আমার কাছে এসেছিল।  সে একটা পাঁচতারা হোটেলে অভ্যর্থনাকারীর কাজ করে। জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনার ফলে তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে যায়। রক্ত শোধনের জন্য সে তার পাকযন্ত্রে থলি ব্যবহার করতে শিখে গেছে। 
যদিও সেটা কিডনির মতো এতটা কাজ করে না, তবে জীবনটাকে এর মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখতে পারছে। প্রতিদিন তাকে চার ব্যাগ বর্জন তরল বের করে পাকযন্ত্রের থলিতে স্থানান্তরিত করতে হয়। এবং প্রত্যাশিত ভাবে ক্ষতিকারক   পদার্থগুলো তার ফলে নিষ্কাশিত হয়ে যাচ্ছে, যা কিনা তার কিডনি যন্ত্রের করার কথা ছিল। 
(যদিও আমরা আজও জানি না, সেসব ক্ষতিকারক পদার্থগুলো কী, শুধুমাত্র একটা বাহ্যিক যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে বাঁচিয়ে রাখছি। এ ছাড়া কি কিছু করণীয় আছে--সূত্র। )
এভাবেই তাকে প্রতিদিন বেশকিছু ঘণ্টা বর্জগুলো বইতে হয়। প্রত্যাশিত ভাবে কয়েক মাস প্রশিক্ষণের পরে তার যান্ত্রিক উপায়ের এ নিষ্কাশন প্রাকৃতিক হয়ে উঠল, অনেকটা দাঁত পরিষ্কার করার মতোই।  
বেশির ভাগ চেতনই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছে, কখনও কৃত্রিম বাহ্যিক সহযোগিতার দ্বারা।  সবই যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত।  কখনও মনে হতে পারে, এটা চেতনারই সংযুক্তিকরণ।


Chapter 56




Add-Ons to Consciousness


Prof Joatmon began, "To understand system malfunction it is necessary that you understand system function for which you have those pre-clinical years where the intricacies of system components and their functioning are detailed. However there's more to it than just knowing what's inside the body.

Equally important is what's outside and how the machine interacts with its surroundings. Like, why do we need our machines at all...it's to have fun, it's to revel in those five senses, process them creatively and express oneself in motor activities that trigger passions generated in neighboring machines. In short, we have fun unwittingly, only to run a bigger machine, which is the universe that also does the same with other neighboring universes playing inside that infinite one. 

In medicine one tries to look at the infinite like looking at the whole forest and not just concentrating on its trees." Joatmon's eyes had that dreamy look. "Trees...trees everywhere you look into the anatomy of the Earth. You actually need a microscope (or telescope...call it whatever you want), to peer deeper into its tissues...the so-called microcosm. Trees are receptors getting up or down regulated from time to time, homing variety of molecules, birds returning to their nests at dusk. This is just a small peep on lifting the lid off the notebook and you sure will need to know more as time goes by and you keep peering into these systems in the hope of trouble shooting them. 

After you've lifted the lid off the Earth and studied the microcosm you'll need to study its behavior in the macrocosm. Like for example what is its idea of having fun...the very purpose of its existence. There are Con's with machines (people) who simply exist for a daily struggle against death and deprivation, their fun lies in getting to fill their stomachs each day after obtaining the means to fill it. There are Cons who continue to use their machines (bodies) in spite of their limited functionality (due to disease or overuse trauma). 

These are our day to day patients, machines whom we try to repair, restore to normal function or simply add supportive devices so that they just continue to live. A 20-year-old girl had come to meet me today. She works as a receptionist in a 5 star hotel and both her kidneys have been destroyed in a forest fire. She's learnt to use her peritoneum (the bag all of us carry inside our abdomen covering our viscera-Sutra) to clean her blood, not as good as her kidneys but at least she will live with it. Every day she needs to introduce 4 bags of hyperosmolar fluid into her peritoneal bag and hopefully most of the harmful molecules normally filtered by the kidney would filter into her peritoneal bag. (We still don't know what all these molecules exactly are but we have devised a system to take care of them...can you beat that! –Sutra). In this manner she'd throw away the wastes in her blood along with the hyper-osmolar fluid that she'd need to hold in her peritoneal bag for a few hours everyday. Hopefully after a few months of training her daily manual filtering would become second nature, like brushing teeth. 


Most Cons would do anything to just continue living; continue to function if even with artificial support. All of them are very attached to their machines. They hardly ever realize the machines are simply add-ons to their consciousness (themselves).

Sutra





Chapter 55 Bengali

অধ্যায়-- 55


বহিঃ-অন্তঃ অঙ্গের ওষুধের মূলনীতি

সমুদ্রের পাড়ে একটা বেশ আকর্ষণীয় ঝকঝকে খোলা পড়েছিল। জুনের সেদিকে নজর কাড়তেই দেখতে পেত, সেই দাঁড়িওয়ালা অধ্যাপক উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কিছু বলছেন। তাঁর বলার ধরন সবসময়ই এরকম--
আজ তোমাদের সবাইকে আমি আমার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. জোটম্যানের কাছে নিয়ে যাব,যিনি এই শহরতলিতেই বাস করেন। তিনি ঠিক সেসময়ের চিকিৎসক, যখন জরাগ্রস্থ লোকেদেরকে আজকের দিনের মতো বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসা করতেন না। এমনকি এখনও যদি কোনও রোগীর রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে থাকি, তখন তিনিই তার সমাধান সূত্র বের করে দেন। 
ঘন জঙ্গল পেরিয়ে গাড়িটা রাস্তায় দাঁড়াল। জুন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না, কলেজ থেকে মাত্র দুঘণ্টার পথ অতিক্রম করে এরকম একটা জায়গায় পৌঁছা গেল।  সে ভয়ে ভয়ে জঙ্গলের ঘাসে পা ফেলছে, পাছে যদি কিছুতে কামড়ে দেয়, কিন্তু অধ্যাপকের দৃঢ় পদক্ষেপ ফেলার ধরন দেখে কিছুটা আশ্বস্ত হল।

তারা বেশ ক'টা নদী পেরোল। শেষের নদীটা পার হতে গিয়ে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভিজে গেল। এত স্রোত যে, এক ছাত্রকে প্রায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, আরেকজনের একটা জূতো ভেসে গেছে। তাদেরকে এক অদ্ভুত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাড়ে উঠতে হল। চেতনকে সেজন্য ধন্যবাদ! দড়িগুলো বাঁধার জন্য, যা কিনা কোনও শরণার্থীরা ফেলে রেখে গিয়েছিল।  তারপর পাথুরে পাহাড়ের পিচ্ছিল পথে অধ্যাপক মশায় দুহাত পা ব্যবহার করে পেরিয়ে গেলেন।  জুন  নিজেকে শুকোতে বসে পড়ল। কিছুক্ষণ পরে সে একজন সাদা ঝুল দাঁড়িওয়ালা লোক দেখতে পেল, যেকিনা তার দিকে তাকিয়ে হাসছে। সে দেখতে অনেকটা অধ্যাপক মশায়ের মতোই, যদি না সে তাকে ছয় বছরের কিশোরের পেন্সিল হারিয়ে যাবার পর খুঁজে পাবার মতো নির্দেশ না দিত। ছাত্ররা সবাই শ্রদ্ধানত ভাবে  'বহিঃ-অন্তঃ অঙ্গের ওষুধের মূলনীতি' গ্রন্থের প্রথম সম্পাদক অধ্যাপক জোটম্যানের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। 
' শোন, আমি হলাম জোটম্যান। তোমরা আমাকে সংক্ষেপে "জো' বলে ডাকতে পারো। এক কাপ চা হয়ে যাক।' 
আরো হয়তো হাজার খানেক পা মাড়ানো হল। অবশ্য জুন সেটা গোনার চেষ্টা করেনি। তারা পাথরের নীচে অস্থায়ী এক আস্তানায় বসে চা খেল। তাতে লেখা-- জোএর গুহা। তার সামনে আরেকটি অন্ধকার গর্ত। জো বলল, এটা মহাকালের গুহা। এমনভাবে বলল, যেন জুন সেটা জানতে চেয়েছে। একজন বৃদ্ধ মিশনারী পর্যটক এটা আবিষ্কার করেছিলেন। এটা চুনাপাথরের। এর ভিতরে উঁচু উঁচু প্রচুর পাথর পোঁতা রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়রা শিবজ্ঞানে পুজো করে। শিবলিঙ্গ চেন। জুন সেসব জানার কী দরকার বুঝতে পারছে না। জুন ভাবে, অধ্যাপক জোটম্যান এক অদ্ভুত লোক- সবজান্তা গামছাওয়ালা। যেমন সব জান্তা ভাব দেখায়, এমনই তার নাম হয়েছে-- 'jack of all trade, master of none' শব্দবন্ধের সব শব্দের আদ্যাক্ষর জুড়ে দিলে তো  এই নামটাই দাঁড়ায়।

এটাই মেডিসিন, যা তিনি বললেন। একমাত্র চেতন সমস্ত মানব শরীরের সবকিছু জানতে পারে(শুধুমাত্র একটা বিশেষ অংশ নয়।) চেতন উৎকীর্ণ হয়ে শেষ কথাটা শুনল, বেশ, এখানে একজনই আছে, যে কিনা যুক্তিসঙ্গত কথা বলে।


Chapter 55




Principles of External-Internal Medicine


There was a particularly interesting shell sparkling on the beach. As June stared at it she could visualize the bearded face of the professor standing on the pulpit addressing his students. His narratives were always so very..."Today I am going to take you all to my retired professor, Dr Joatmon who lives in the outskirts of the city. He's from a time when troubleshooting humans was not as compartmentalized into specialties as it is today. Even now, he tackles a few of our patients when we are stumped."

The car stopped on the road that had crossed a dense jungle. June couldn't believe it was just a two hour drive from their college. She treaded sheepishly on the foliage half expecting to be bitten by something but was partly reassured by the professor's confidant strides.

They crossed a few rivers and the last one left her drenched from head to toe. The current nearly swept one of the students off and another lost one of his shoes. They had to climb down to their last river, pretty technical at places. Thank Con! For those fixed ropes...wires actually, some pilgrims may have left. 

Then there were those slippery steps cut out from the rocky ridge and as the professor clambered up them, June sat on them to dry herself. After sometime she found a gentleman with a white flowing beard grinning at her. She'd have taken him to be another version of the professor if she didn't find the professor accompanying him with an expression suggesting a 6year old school boy who's just found his pencil box hidden someplace completely forgotten earlier. 

All the students stared awestruck at Prof Joatmon, founder editor of Joatmon's "Principles of External-Internal medicine”.” Hi! I am Joatmon call me Jo for short. Come on up for a cup of tea." It turned out to be a thousand more steps, not that June cared to count. They were sipping tea in a makeshift home under a huge stone slab labeled, 'Jo's Cave'. In front of them was another dark hole. “That's the Mahakaal cave, "Jo said in a matter of fact manner as if June had asked the question in an equal vein. It was discovered by one of those old traveler type missionaries. Its all limestone inside with a lot of stalactites and stalagmites, which the local people here venerate as Shiva...you know, the penile figurehead". June wasn't sure she'd need all this info but professor Joatmon was a strange man... a jack of all trades, master of none was what he said his name meant unabbreviated (if you took it to be an acronym). 

Medicine is all about being just that he said; after all it is Con only who can master the human body (and there's no point mastering just a part).

Con pricked up his ears at the last statement. "Well here's one fellow who's finally talking sense.




Chapter 50 Bengali translation

অধ্যায়-- পঞ্চাশ 


শব্দ এবং ধারণা

খেলাটার নাম এক শব্দের গল্প। কোনও রকম প্রস্তুতি নেই। পূর্ব পরিকল্পনা নেই। এমনিই এক প্রক্রিয়া আমার কাছে উপযোগী মনে হয়েছে। তোমরা যদি দশ-বিশজন জড়ো হও, তো তাদেরকে নির্দেশ দাও, মুখোমুখি হয়ে বৃত্তাকারে বসে যাক। একটা বাক্য বলে গল্পটা শুরু করে দাও-- বালিকাটি বনে গিয়েছিল। তারপর বৃত্তে বসে থাকা যে কোনও একজনকে এই গল্পে একটা শব্দ যোগ করে দিতে নির্দেশ দাও। এভাবে পরপর সবাই একটা করে শব্দ যোগ করে দিতে থাকবে।  এটা করাতে গিয়ে আমি ভীষণ রকম ভাল একটা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম।  প্রতিযোগীরা প্রত্যেকে সাক্ষাৎকারে বলেছে, তারা গল্পটা সম্পর্কে কোনও রকম পূর্ব ধারণা ছাড়াই গল্পটাকে একেকজন করে বলে যেতে লাগল। তারা প্রত্যেকে ঠিক সেই শব্দটার যোগ করে দিচ্ছে, যা বলা উচিত ছিল। কেউ কেউ গল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গিয়ে কখনও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছে, কেউ আবার হতাশ হয়ে পড়ছে। পূর্ববর্তী প্রতিযোগী কী উচ্চারণ করবে, সে সম্বন্ধে তার কোনও ধারণাই নেই। কোনও অনুমান করতে পারছে না, তাকে ঠিক কী বলতে হবে। সেজন্য তাকে নিজের মতো করেই বলতে হচ্ছে।

বয়েড রোজার

ডুয়ার্স এলাকার বক্সা এবং জয়ন্তী পাহাড়ে আবারও পর্বত আরোহণের প্রশিক্ষণ চলছে। ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনে গত গণনায় তিরিশ বাঘ গোনা হয়েছিল। তাদের কাছে শুধুমাত্র বাঘেরাই ভয়ের কারণ ছিল না, বর্ষার জোঁকের উৎপাতও ছিল। 

 অধ্যাপক মশাই শুরু করলেন, বর্ষণমুখর জঙ্গলে জোঁকেরা পাতার উপর কাঁপছে, কোনও এক ধারণার সঙ্গে মিশে যেতে তারা সমুহ বিপদ সম্পর্কে উদাসীন। 
ধারণার নিরীহ আত্মারা রাতের বর্ষণ শুরুর আগে একটা আরামদায়ক আশ্রয়ের জন্য ঘন জঙ্গলে হন্যে হয়ে ঘুরছে। ঘটনাক্রমে তাদের কেউ দীর্ঘক্ষণ পরে একটা পরিত্যক্ত বাংলো পেয়ে যায়।  
তারা সেখানে শব্দগুলোকে মোমবাতির আলোয় ব্যক্ত করছে, শব্দেরা মাছের মতো। এসব তখনই হল,  যখন ঘুম এসে ধারণাকে গ্রাস করে নিল।

ধারণারা ঘুমোয়। শুধুমাত্র ভোরে জেগে ওঠার জন্য। শব্দ এবং বাক্যেরা আগামী ভোরের সূর্যোদয়ে তীব্র বৃষ্টির মাঝে আবেগে গর্জন করে ওঠে। 
ধারণাগুলো সব ধুয়ে সাফ হয়ে দূরের নদী উপত্যকায়, সমতলের বন্যার জলে মিশে যায়, যেখানে তারা গতি হারিয়ে ফেলে। শিশুরা সেখানে আনন্দে চান করছে, নরম বালিতে জল ছিটোচ্ছে। শব্দেরা হল বহুদিন আগে পিতামাতাকে হারানো, গৃহহীন।তারা তাদের জিনগত উৎস খুঁজে পেতে অনড়। তারা বাস্তব জীবনে অনভিজ্ঞ। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য, একটু স্বস্তির জন্য, আত্মতুষ্টির জন্য, আনন্দের জন্য পৌঁছেছে...কী নয়। প্রতিটা মুহূর্তে তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর জন্য ছোটে, যা কিনা আশ্চর্যজনক ভাবে ধারণার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে।

ক্ষুদ্র একটা বালুকণার মতো, এই কণাগুলো আবার বড় আকারের অনুগুচ্ছের মতো। তাদের নিজস্ব সৌরজগতের অধীনে, ইলেকট্রন মেঘের সঙ্গে, অসংখ্য অনুপরমানুদের নিয়ে
যে একটা মহাকাশ শহর নির্মাণ করা হল,  এটাই হল ধারণা, যা  অপ্রত্যাশিত ভাবে মনন থেকে দুলছিল। আমাদের মনের মধ্যে সেটা বাসা বেঁধে রয়েছে। প্রতিদিনের শূন্যতায় একটা তত্ত্বের জন্য, সব সমস্যার সমাধানের জন্য। 

শব্দেরা জিনগত উৎসের মতো একগুচ্ছ পরমাণু দিয়ে তৈরি। তারা বিন্যাসগত অবস্থান পরিবর্তন করে নিজেদের পাল্টে ফেলতে পারে। তা থেকেই অসংখ্য ধারণার সৃষ্টি হয়। ভিন্ন ভিন্ন কোষেরা, ভিন্ন ভিন্ন কাজ করছে, ফলে ভিন্ন ধারণা জন্মাচ্ছে। যেগুলো রোগের মতো জীবনের সংহত জটিল  পরমানুগুচ্ছে পরিণত হচ্ছে। যাকে মৃত্যুর মুখ ফিরিয়ে আনতে গিয়ে আমরা জয়ী হচ্ছি। এ নেটওয়ার্কের কাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতেই থাকে।

সে রাতে তারা পরিত্যক্ত বাংলোয় শুয়ে থাকা শুয়োরের মাংস ঝলসে খেয়েছিল। তারপর চাঁদের আলোয় বসে গান গিয়েছিলো, কবিতা পাঠ করেছিল।


Chapter 50




Words and Ideas


An exercise I have found very useful draws from improvisation drama: “The one-word story”. If you have 10 or 20 individuals then ask them to sit in a circle facing each other. You then feed them an initial line of a story (e.g. “The girl went into the forest”). Then tap someone on the shoulder and ask them to add a word to the story. And so this continues round the circle with each person adding a word to the emerging story. I found this to be a good experiential exercise since during the de-brief participants say that no one individual was in control but a story structure clearly emerged. They also reach the point where the emerging story is influencing what is said next. Some talk of the futility of trying to control the story and how frustrated they were when the person next to them uttered a word they had not predicted and so had to respond differently. 

Boyd Rodger,

www.learningecology.co.uk



It was a class trek again this time in the jungles of Buxa and Jainti in the Duars region of Bengal. There were 33 tigers counted in these forests in the last census under the tiger project. It was not however the tigers that intimidated them. It was the leeches in the rain. The professor started off, “Words are leeches quivering on leaf tops in a rain forest dying to attach on to any passing idea however unsuspecting. Ideas sucked dry to the bone make words fall off burping to their hearts content. Ideas are but poor innocent souls, roaming in the forest looking for a cozy shelter before night falls suddenly in a dense jungle.

Eventually they do find one, after losing the way umpteen times, inside a forsaken forest bungalow. They share words in the light of a candle, words like fishes, succulent and juicy leaving an after effect long after sleep engulfs our ideas.

Ideas sleep…. only to wake up at dawn, greet another sunrise of words and sentences amidst raging mountain torrents. Ideas are washed away into far off river valleys and flood plains where they slow a little. Children bathe in them with gaiety, sprinkling soft sands. Words are children looking for their long lost parents, homeless and yet full of vigor, determined to find their genetic donors, who exist in ivory towers, reach up to them for comfort, joy, satisfaction, security… what not. From time to time they run after these conventionally important things, which peculiarly hide in ideas, so vast and spread out that words are just a speck. A tiny grain of sand in comparison and yet these grains are like huge atoms, with their own solar systems and electron clouds. Space cities built into their infinite elementary particles are but one gigantic idea that sprang from an astonished contemplation, accidental and yet profound. It dwells in our minds, which long for a theory, a solution to everything, in its every day nothingness. 

Words like genomic imprints, building blocks of complex molecules, keep changing rearranging themselves, generating more and more ideas, different cells performing different functions, diverse set of ideas, which like disease, manifest themselves on integrated complex molecules of life that we fancy ourselves, more often than not leading to death, obliteration of one complex molecule, any one amongst us perhaps, in the vast shores of time, another re arrangement of on-off signals. The network continues to function as if it knew no time.” 

That night they had roasted pork with beer lying, in a forsaken forest bungalow, singing songs and sharing poems under the light of a full moon.






Background to conscious-notebook translated to Bengali

 প্রেক্ষাপট: --


যে কোনও গ্রন্থের বিষয়বৈচিত্র্যের কাল্পনিক বাঁধন বাস্তব জীবনভিত্তিক। এটাই স্বাভাবিক। কোনও লেখকের মনে বাস্তব জীবনের কোনও ঘটনাক্রম দাগ কেটে গেলে, সেটা তার মনের ভিতর জারিত হয়ে লেখকের মধ্যে সৃজনশীল  সত্তার বোধন ঘটায়। লেখক তখন সেটাকে একটা কাল্পনিক পটভূমি অঙ্কন করে রূপায়ণ করে। এই গ্রন্থ সেই অর্থে ব্যাতিক্রম কিছু নয়। এর বিষয় তথ্য বাস্তব জীবন থেকে সংগৃহীত হলেও সেসব নিখুঁত ভাবে বাস্তব জীবনের সঙ্গে যে কোনও রকম সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। তার পরেও যদি এর কোনও ঘটনাক্রম কারও জীবনের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে সেটা একেবারেই কাকতালীয়।

যিনি সচেতনভাবে গ্রন্থের বিষয়বস্তুকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে যত্ন সহকারে পড়তে চান, তাঁর প্রতি নিবেদন:--

এই গ্রন্থের গতিপ্রকৃতি মোটেই সরলরৈখিক নয়, বরং এর নির্মিতি একেবারেই বক্র।  এলোমেলো, আঁকাবাঁকা পথ ধরেই এর চলন। এর গঠনতন্ত্রের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে একজন ডাক্তারি ছাত্রী এবং তার বাবা।
পাঠক ইচ্ছে করলে গ্রন্থটির শেষ অধ্যায় থেকেও পড়া শুরু করতে পারেন। এবং মাঝের কোনও অধ্যায়ে গিয়ে পড়াটা শেষ করতে পারেন।
যদি চান তো আগে নিশ্চিত হোন যে, আপনি ছাপানো গ্রন্থটি পড়ছেন। পুনর্বার পাঠ করে ঘটনাক্রমের মধ্যে সম্পর্ক পেতে চাইছেন। অথবা কম্পিউটারে ইলেকট্রনিক ভার্সনে চোখ রেখে তথ্যের তালিকায় মনোনিবেশ না করে শুধু ইটালাইজড হেলানো অক্ষরে লেখার সারবত্তাটুকু আহরণ করতে চাইছেন। 

একটি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কল্পনা করে নিন। যেখানে মানুষেরা হল সাংকেতিক কোড। কোডগুলোর লিঙ্ক হচ্ছে তাদের পারস্পরিক পরিচিতি, সম্পর্ক। তাহলে সহজেই মানুষেরা একটা সম ভাবনা, সমচিন্তনে অভ্যস্ত একটা সমাজ গড়ে তুলতে পারবে। একটা ছোট্ট সমাজ, যেখানে সবাই সবাইকে চেনে, তাদের মধ্যে কারও কারও আবার বাইরের কোনও সমাজের  লোকেদের সম্পর্ক রয়েছে।  কিছু মানুষ আবার নেতামন্ত্রী, অভিনেতাদের সঙ্গে সুপরিচিত, যারা অসংখ্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সে মানুষগুলো আবার এই ছোট্ট পৃথিবীর বিশেষ কোনও ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন।

More about the translator in the link below :


English version :

The Conscious Notebook






All works of fiction draw on real life data and the present work is no exception. The data has been meticulously distorted substantially to remove all possible real life links. Any resemblance to a real life person would be purely coincidental.





Reading tips for the diligent but gullible reader



The trick in this book is not to be diligently linear as this is a very non-linear narrative built within the framework of a scale-free network with the sections on the medical student and her father as the major hubs. You could start with the last chapter and even end somewhere in the middle if you want to but be sure to turn it rapidly and smell the ink (that is if you are reading a paper version) or just eye the contents (not on the table of contents) scrolling down slowly till you feel like reading the italicized quotes (if you are on your electronic version).




Consider a social network in which nodes are people and links are acquaintance relationships between people. It is easy to see that people tend to form communities, i.e., small groups in which everyone knows everyone. In addition, the members of a community also have a few acquaintance relationships to people outside that community. Some people, however, are so related to other people (e.g., celebrities, politicians) that they are connected to a large number of communities. Those people may be considered the hubs responsible for the small world phenomenon.

http://en.wikipedia.org/wiki/Scale-free_network





Thursday, July 7, 2022

A young alcoholic cirrhotic Chapter 60-63

 A young alcoholic cirrhotic 

June would visit Ram Hari every morning and collect his story bit by bit during the time most of her friends would busy chatting away waiting for Professor Mechanic to come and teach them. 

Ram Hari was a 25-year-old man working as a hotel waiter in Bharatpur, Nepal and had come to Kolkata, India searching for a job in a bigger hotel. He landed up in the bed before June however as he had developed a distension of his abdomen while in Kolkata and when he presented to the outpatient department of their medical college a kindly physician admitted him. 

That was three years back and ever since he had been depending on the hospital for his food, shelter, and intermittent fluid removal from his abdomen. Most of the hospital staff knew him by name.

He had been a regular drinker since the age of twelve. His mother had abandoned him when he was a 6 year old (his father kept saying she had run away with another man). From the age of 12, he was forced to work as a daily wage earner by his father and was employed in a factory manufacturing country liquor. Since then he started drinking 250 ml of spirits daily and would occasionally consume 2 bottles of 750 ml each.

At the age of 21, he suffered an episode of massive blood vomiting and tarry stools for which he had been admitted to a district hospital in Nepal where he received 6 units of blood transfusion. Soon after discharge from that hospital he resumed drinking for another year until he was readmitted to the same hospital with a fluid filled belly. He has undergone repeated removal of fluid ever since with needles jabbed at various sites over his belly. 

He also had a hernia over his umbilicus due to all that fluid in his belly and which burst spontaneously one fine day for which he again had to be admitted for an emergency operation. 

June started doing a physical examination on Ram Hari meticulously elucidating the findings as she had often seen Joatmon do. 

On general examination Ram Hari was visibly very pale and malnourished, had a prominent scalp infection, and his eyes suggested a mild jaundice. Ram Hari's abdomen provided the maximum number of findings. It was distended with prominent veins and fullness in his flanks, an everted and bulging out umbilicus (as if someone had stuck a top over that portion of his belly). She could hear a continuous to and fro sound over his umbilicus with her stethoscope but couldn’t figure why there was this sound and decided to look it up later in her books if possible. 

June could palpate his liver and spleen by dipping her fingers into the organs through his fluid filled belly. She could elicit a vibration of fluid over her palms placed on his belly by tapping at it from a point opposite. It is a sign that goes by the name of 'fluid thrill' possibly given by a thrilled physician first to have discovered it. It confirmed the presence of a lot of fluid in Ram Hari's peritoneal bag covering his intestines. 

June took a peek at his file to look up the investigations already done during his hospital stay. 

He had a hemoglobin of 5 g/dL, a total leukocyte count of 1800, and markedly reduced platelets on smear suggestive of hypersplenism. His serum bilirubin was 3.6 mg/dL with an unconjugated fraction of 2.4 mg/dL, serum albumin was 2.1 g/dL and globulins were raised at 4.5 g/dL. His HbsAg (Virutex/latex), Anti-HCV (dot blot Assay) and HIV (ELISA) were negative. 

Ultrasound abdomen showed an irregular liver surface with portal vein measuring 14 mm apart from free fluid. 


অধ্যায়-- 61


মাদকজনিত কারণে যকৃত রোগগ্রস্থ যুবক 

জুন প্রতিদিন ভোরে রামহরির রোগের ইতিহাস পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতে আসত। সে সময়টায় জুনের সতীর্থ বন্ধুরা অধ্যাপক মেকানিকের সঙ্গে আড্ডার জন্য অপেক্ষা করত, যিনি তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে আসত। পঁচিশ বছরের রামহরি নেপালের ভরতপুরের হোটেলে প্রতিক্ষাকারীর কাজে নিযুক্ত ছিল। একটা বড় হোটেলের কাজ পেতে কলকাতায় এসেছিল। তখন  মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগে দেখাতে এলে, একজন চিকিৎসক তার প্রতি সদয় হয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল। সেটা প্রায় তিন বছর আগেকার কথা। সেই থেকে সে খাওয়া-দাওয়া, আস্তানা, চিকিৎসার জন্য, পেটের জল বের করার জন্য হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল ছিল। হাসপাতালের প্রায় সব কর্মচারীদের কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছিল।  বারো বছর বয়স থেকেই সে নিয়মিত মদ খেত। ছয় বছর বয়স থেকেই মা নিরুদ্দেশ ছিল। তার বাবা বলত,  তার মা নাকি অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে। বারো বছর বয়স থেকেই তাকে বাবার সঙ্গে দেশি মদের ফ্যাক্টরীতে দিনমজুরের কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।  তখন থেকেই সে প্রতিদিন 250 মিলি মদ খেতে শুরু করে। কোনও কোনও দিন দুটো 750 মিলি বোতলও সাবার করে দিত। 21 বছর  বয়সে মারাত্মক ভাবে তার রক্ত বমি শুরু হয়। সেই সঙ্গে কাল পায়খানা। তাকে নেপালের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হল। সেখানে তাকে ছয় বোতল রক্ত দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে আরও বছর খানেক ধরে মদ খেতে থাকে, যতদিন না তাকে দ্বিতীয়বার একই হাসপাতালে ফোলা পেটসহ ভর্তি করা হয়। তার পেটে অসংখ্য সূচ ফুটিয়ে বারংবার জল বের করা হয়। পেটে জলের পাশাপাশি তার নাভি অবধি হার্নিয়া ছিল। কোনও একদিন সেটি ফেটে যায়, আবার হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন করা হল। 


জুন তাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করছে। ঠিক যেভাবে সে জোটম্যানকে করতে দেখত। সাধারণ পরীক্ষায় রামহরিকে অপুষ্টি রোগগ্রস্থ,  ফ্যাকাশে মনে হচ্ছিল। তার মাথার চামড়ায় সংক্রমণ, চোখে মৃদু জনডিস। পেটে অনেক রকম অসঙ্গতি দেখা গেল।শিরা-উপশিরা ফুলে রয়েছে। জুন  নাভির উপর স্টেথো ধরে অনবত তোলপাড় শব্দ শুনতে পাচ্ছে, কিছুতেই বুঝতে পারছে না, এত শব্দ কোত্থেকে হচ্ছে। তরলে ভরা পেটের যকৃত, অগ্নাশয়ে আঙুল দিয়ে জোরে চাপ দিচ্ছে, হাতের চেটো বসিয়ে তার উপরে টোকা দিলে জলের নড়াচড়া টের পাচ্ছে। এটা থ্রিল ফ্লুইডের উপসর্গ, যা কিনা কোনও ডাক্তার সেটা প্রথম আবিষ্কার করে নিজে থ্রিলড হয়ে এরকম নামকরণ করেছিল। এ থেকে নিশ্চিত রামহরির পাকস্থলিতে প্রচুর জল জমেছে।

জুন তার মেডিক্যাল নথির ফাইলটি আরেকবার দেখে নিতে তুলে নিল, যা এর আগেও তার হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন দেখেছিল। 

হিমোগ্লোবিন 5 g/dl

লিউকোসাইড কাউন্ট 1800

প্লেটলেট অসম্ভব রকম কমে গেছে। সিরাম বিলিরিউবিন 3.6mg/dl. যেখানে আন-কনজুগেটেড ফ্র্যাকশন 2.4mg/dl. সিরাম অ্যালবুমিন 2.1g/dl. গ্লোবিউলিন বেড়ে 4.5 gm/dl এ দাঁড়িয়েছে। HbsAg( Virutex/latex), anti-HCV(dot blot Assay) এবং HIV(ELISA) নেগেটিভ ছিল।  পেটের আলট্রা সাউন্ড থেকে যকৃতের উপরিতল খসখসে পাওয়া গেছে। পোর্টাল ভেইন 14 mm.তে দাঁড়িয়েছে।

Bedside troubleshooting: a systems approach 

Prof Mechanic began, " The approach to clinical problems (or challenges), begin almost always in trying to localize it at a component level, be it in the kidneys, heart, brain or liver. Asking where the problem is gives us the morphologic/anatomic diagnosis. The ability to make a diagnosis would therefore depend very much on our knowledge of anatomy, the intricacies of the machine's internal circuitries. None of you should feel uncomfortable looking at the jumble of chips and maze of signaling pathways that one finds on removing the lid off your machines. You have had sufficient time I hope to learn about it in your pre-clinical years. This learning and your knowledge of anatomy is what separate you from a layperson that is more likely to be your patient. It is also important because the human machine takes a long time in its evolutionary sequence to change in structure. So for most part of your medical career you will find many of the other things that you learn today shall change dramatically over the years but your knowledge of structure/anatomy shall not. Even grossly your machine may not appear to change very much in function at a component level. The kidney will continue to produce urine, the liver bile, and the heart shall continue to supply blood and oxygen to all the tissues, microchips that produce energy from your daily bread and the brain shall continue to think perhaps! 

This view of the brain was not always there in the past and we have held on to it for quite some time now. However at a deeper microcosmic level the stories may change. This is because, (Quoting Blake) "The Microscope knows not of this nor the telescope:they alter the ratio of the spectators Organs but leave objects untouched." 

Apart from identifying which component is malfunctioning we have to also answer the question of why it is malfunctioning. If a machine points out or displays chest pain on its LCD screen we can speculate the source to lie in the coronary pipes which may be blocked and not supplying enough oxygen to the central pump, or it could even be something wrong with the aortic valves in the pump, again impeding circulation through the coronary pipes. We can also speculate that it may be due to a host of other system components like the food pipes or lungs or even the muscles or bones of the chest and very often these possibilities would be narrowed by weighing clues offered in the symptoms, the onset, duration, course and exact site of the pain. Assuming that we have narrowed down the problem site to the pipes supplying the heart (fashionably called the coronary arteries) we have to wonder next why, what is happening there? The commonest story in circulation at present to explain blockage of these pipes is the story of atherosclerosis. The story of immigrant lipid moieties settling down in the endothelium, constantly under attack from inflammatory mediators until one fine day the plaque like community fissures and cracks up resulting in a blocked pipe. This is a problem of the present global community, violence and strife everywhere. Our diagnosis generally ends here after unearthing the site and cause of the problem. 

Summarizing livers and rivers within 

Prof Mechanic continued, "To summarize then, we have a 25-

year-old system with a bloated belly, past blood vomits and 

altered behavior. This point’s to the liver and its pipes under high 

pressure as the anatomic location of this problem. This is what we 

would label as its anatomic diagnosis. Now the exact cause for 

injury to the liver is also quite clear. Ten years of uninterrupted 

high dose alcohol consumption, like spilling coffee everyday on 

your notebook that finds its way into the hard disc. On examining 

this machine we find prominent veins over his belly a marker of all 

those displaced liver rivers. And just look at those beautiful red 

spiders, Wow! Look at that haul on his back! Look how they 

blanch off and disappear when I press this glass on his skin and 

reappear when I remove the pressure. Also if you remove his 

underwear and examine his genitals you shall find both his testes 

small like that of a kid. There is hardly any secondary sexual 

characteristics in this 25-year-old you would expect, axillary, pubic 

hair...hardly any? The spiders-dilated small arterioles, small 

testes, lack of sexuality is all because of an excess of the female 

hormone, estrogen in his blood…That estrogen which couldn't be 

utilized by his ailing liver. 

The class looked at Professor Mechanic mesmerized by his deft 

handling of this 25-year-old young machine arriving so very easily 

at a diagnosis both morphologic as well as etiologic. 

"But then...June thought, is getting the diagnosis the central 

process of clinical medicine?" The 5 edition of the oxford handbook of clinical medicine that she 

carried about in her apron most often to the wards also raised the 

same question and in its own answer submitted, “The central 

process in medicine are: The relief of symptoms, the providing of 

reassurance or other prognostic information and the lending of a 

sympathetic ear, all seriously lacking June thought in professor 

Mechanic who always seemed to be in a hurry doing procedures, 

giving lectures and advice too often without much listening. He 

was more like a tree swaying gregariously in a storm shaking off 

all the birds that dared not build nests on his shoulders. Prof Jo 

never seemed to be in a hurry, which made you wish you could be 

with him always. 

61 

Discussing the Whole 

June emailed Ram Hari’s story to Joatmon particularly because 

she was convinced there must be another level of diagnosis for 

him apart from the fact that he had cirrhosis of liver (Prof 

mechanic’s morphologic diagnosis) due to alcohol (His etiologic 

diagnosis). 

 Dear June, Thanks a lot for this. There is this other dimension of 

a patient’s diagnosis which you have sensed and we in holistic 

medicine feel is so often neglected by professor mechanic’s 

hardware school. It’s the social diagnosis that lifts this machine 

from the hospital bed and places him in a wider community 

perspective. That is why a hospital physician who never practices 

in the community can hardly ever connect to his patients beyond 

the mechanical approach, barring exceptions. I would like you to 

prepare a report of this case because it’s important that we tell the 

world that cirrhosis with all its complications due to alcohol can 

even occur at this age possibly related to poverty, child labor and 

easy access to alcohol and we need to keep our eyes open for 

this cohort of young alcoholics. Give me the complete clinical 

summary of this case and I shall prepare the discussion. Jo 

June browsed through the discussion prepared by Jo. It must 

have been hard to collect the references sitting in his cave in the jungle but then he had friends in better places that would have 

mailed the references to him. This patient highlights the social 

problems posing substantial challenges to health care in the third 

World. Child labor was forced upon him at an early age and he 

took up alcohol early also because of easy access to liquor. 

Inspite of legislative enactments prohibiting employment of 

children below the age of 14 years (section 14; Civil rights act, 

2012, Nepal), the 1981 census, Nepal, showed that 4.5 million or 

60% of the child population in 10 to 14 age group of Nepal is 

economically active1

. The sale or offering of alcoholic drinks to 

persons below 18 years of age is illegal according to legal 

restrictions on production, sale, and consumption of alcoholic 

beverages in Nepal2

. However, alcohol use has been quite 

prevalent in Nepal since time immemorial. Social tolerance to 

alcohol use is quite high and mostly alcohol has not been taken 

seriously either by the Government or by any social organization. 

Production, sale, and consumption of alcohol are ever on the 

increase and it could be taken as the number one problem drug in 

the country3

. These factors contributed to the early onset of heavy 

drinking in our index case and he developed cirrhosis at the age of 

21 years. His dependence on alcohol was such that he didn’t stop 

drinking even after the first episode of blood vomiting and tarry 

stools. Continued drinking for another year made his social and 

financial supports give away. 

Following this he was converted into a total dependant on the 

hospital partly for his regular abdominal fluid removal and partly 

for 2 square meals a day, effectively falling into the vicious cycle 

of poverty and social-physical debility. The so called Developed 

countries such as United States have dealt with their alcohol 

problem with periodic enforcement of strict prohibition like the one, 

which lasted from 1920-23, and the incidence of alcoholic cirrhosis 

reached an all time low. The death rate from the condition fell to 

half its 1907 peak and did not start to increase again until the 

amendment was repealed4

. The time is ripe for Nepal to embrace 

strict enforcement of its prohibition laws. 

References 

Children and Women of Nepal, a situation analysis, UNICEF 

Nepal Publications 1992.

Madira Niyamharu (2033) Nepal Niyam Sangraha, Khanda4. (KA) 

2040, Ministry of law and justice, HMG/Nepal, pg 132-8. 

Shrestha NM. Alcohol and drug abuse in Nepal. British J of 

Addiction 1992; 87: 1241-8. 

Musto DF. Alcohol in American History. Sc American 1996; 274 

(4): 64-9.






Image source : https://rhea9895.blogspot.com/2021/12/47-years-old-male-patient-with-reduced.html?m=1

Amal Krishna Roy : Author

গণিতে স্নাতকোত্তর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অমলকৃষ্ণ রায়ের জন্ম কোচবিহার জেলায়। প্রাথমিক ভাবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিনয়োপযোগী নাটক লিখেই সাহিত্য জীবনে প্রবেশ। এ যাবৎ তিনি 20টি নাটক, নৃত্য নাট্য, 500এর বেশি গল্প এবং বেশ কিছু উপন্যাস লিখেছেন। 

ভরা জোয়ার উপন্যাসের জন্য তিনি 2016 সালে ত্রিবৃত্ত পুরস্কার পান। পেয়েছেন কবিতা সম্মাননা2019;  সারস্বত বিশিষ্ট সাহিত্যিক সম্মাননা 2020, বিবৃতি সম্মাননা 2021

অমলকৃষ্ণ রায়ের গল্পগ্রন্থ--

1) নির্বাচিত গল্প সংগ্রহ-- প্রিয়শিল্প প্রকাশন

2) প্রিয় গল্প সংকলন--সাহিত্যশ্রী

3) প্রেমের গল্প--সাহিত্যশ্রী


উপন্যাস--

1) ভরা জোয়ার-- সাহিত্যশ্রী

2) দোতারা--সাহিত্যশ্রী

3) বেদিয়া--জয়িতা প্রকাশনী

4) কুমারীমায়ের টোটোগাঁ--জয়িতা প্রকাশনী

5) সবুজ যাপন 

6) রাজ-অপরাহ্নে--গাঙচিল

7) নির্যাতিতাদের 71-- গাঙচিল 

8) বৈকুণ্ঠপুরের তেরঙা--তুহিনা প্রকাশনী

9) দাসদাসীদের রূপকথা


প্রবন্ধ গ্রন্থ--

বেদেসমাজ--ইতিহাস/সংস্কৃতি/জনজীবন--গাঙচিল


Presently author Amal Krishna Roy is also translating "The conscious notebook" and his first chapter  translation is linked here : https://consciousnotebooksequel.blogspot.com/2022/07/bengali-translation-of-conscious.html?m=1 with more chapter translations to follow. 









Saturday, July 2, 2022

Bengali translation of "Conscious Notebook" work begins

 After more than a decade of  publishing the English version, we have begun work on translating it into Bengali by someone who has also published novels of his own in Bengali. 

তৃতীয় অধ্যায়


সামসারার গল্প 


এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির মুহূর্তে ফিরে যাওয়া যাক, এতটাই অতীতে যাওয়া যাক, যখন ধূমকেতুসম শুক্রানু ডিম্বানুর গ্রহকে আঘাত হানেনি। সেই ধূমকেতু, সেই গ্রহকে ভালভাবে প্রত্যক্ষ করা যাক। হাজার হলেও এই ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আড়ালে তো এ দুইয়ের পারস্পরিক আঘাত, দুইয়ের মিলন।


সূত্র 


'সামসারা' যার অর্থ বিশ্ব, সে-ই হল  এই গল্পের একমাত্র চরিত্র। সে পড়াশুনায় মোটেও খারাপ ছিল না। যে কেউ  বলবে, সে একজন ব্যতিক্রমী মেধা সম্পন্ন ছাত্র। স্কুলের পড়াশুনা শেষে সে একটি নামী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গেল। এর পিছনে মূল কারণ হল বিশ্ব গণিতে ভাল। গণিতের সংখ্যারা তার সঙ্গে কথা বলে। তাকে চুল ধরে টানে, জল ছিঁটোয়। অসম্ভব রকমের পীড়া দেয়, যখন তাকে একটা কঠিন গাণিতিক সমস্যা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়, যেটি একজন সাধারণ মানের ছাত্রের পক্ষে সমাধান করা একেবারেই অসম্ভব। 

তবে তাকে এসব কঠিন অঙ্ক করতে দিয়ে ঘায়েল করা একেবারেই অসম্ভব। এ ব্যাপারে সে যেকোনও পরিস্থিতিতে বাজি ধরতে রাজি যে এরকম  কঠিন গাণিতিক সমস্যার বেশির ভাগই সমাধান করে ফেলবে।

দুর্ভাগ্যবশত সে ডাক্তারী প্রবেশিকা পরীক্ষায় উতরে গেল। এর মূল কারণ হল সে পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন ভাল ফল করেছে। জীবন বিজ্ঞানে শুধুমাত্র গণ্ডি পার করেছে। বিশ্বের বাবামারা ঠিক করেছে, যেহেতু তার দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, তাকে ডাক্তার হতে হবে। সেইমতো তাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হল। সেখানে প্রচুর খাটাখাটুনি করেও বারবার ফেল করতে লাগল। 

সে আসলে মেডিক্যাল কলেজের বিষয়গুলোর গভীরে প্রবেশ করতেই পারল না। বেশকিছু অতিরিক্ত বছর নষ্ট করে কোনও রকমে পাশ করে একটা মেডিক্যাল ডিগ্রি পেল। তার সহপাঠী ততদিনে পড়াশুনা শেষ করে কবেই বাড়ি ফিরে গেছে। কেউ কেউ বিখ্যাত ইউনিভার্সিটির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেল , কেউ হয়ে গেল প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ। তার সহপাঠিরা যারা গণিতে কাঁচা ছিল, তারাও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হল। কেউবা কর্পোরেট জগতে, কেউ হয়ে গেল নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক। 

বিশ্বের বাবামা এতদিনে বুঝতে পারল,  তাদের ছেলেটি ডাক্তার হতে পারেনি, সে শুধুমাত্র একটা নামমাত্র মেডিক্যাল ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছে। তারা ভাবল এবার ছেলেকে যদি কোনও রকমে একটা সরকারি মেডিক্যাল অফিসারের চাকরি জুনিয়র দেওয়া যায়, তাদের এক ভাগ্নে সরকারি ডাক্তার হয়ে মিথ্যে তথ্যে ভরা পোস্ট মোর্টেম রিপোর্টে সাক্ষর করে বাহাতে প্রচুর অর্থ রোজগার করছে। বাড়ি, গাড়ি, বাংলো সব করে ফেলেছে। সেও তা পারবে।

সামসারা সেন কিন্ত ভিন্ন ধাতুতে গড়া। তার মাথায় মেডিক্যাল স্কুলে পড়াকালীন সেই স্বপ্ন ঘুরপাক খেত। সে আজও বিশ্বাস করে তার জীবনের উন্নতির সোপান সেই গাণিতিক সংখ্যাগুলোর মধ্যেই বিরাজ করছে।

More about the translator in the link below :

Original English version below :


Chapter 3




Story of Samsara


To come back again to the beginning of time, even before the sperm comet hit our ovum planet, let’s take a look at the source of our comet and planet. After all, the universe is just a collection of narrative matter strung together by time. –

Sutra



Samsara, which means the universe, is only one of the characters in this story. He wasn’t always bad in academics; in fact one should say he excelled in them. On leaving school, he managed to sail into the best technological institutes in the country, all because he had a way with mathematics. Numbers talked to him. They pulled at his hair, splashed water on him and teased him often sending him into frenzy…more so when he was presented with a problem, which was difficult and impossible for the average student. 

It was off course rare to find him tied down to problems, which he always liked to call challenges, as he would have solved most of them in a jiffy. Unfortunately he also bagged at the same time a seat in medical school as his aggregate in physics and chemistry gave him an edge even if his biology was just passable. His parents decided that as his elder brother was an engineer he had to be a doctor. 

His medical student days were spent in rigorous studies but recurrent failures. He wasn’t actually studying the subjects’ medical school demanded but almost everything else, which included lengthy tomes on theoretical physics, combinatorial chemistry and non-linear dynamics. He took a number of years more than the average medical graduate to pass his finals and barely managed to finish his internship. Most of his batch mates had long finished their residencies and fellowships becoming busy assistant professors of Cardiology, Gastroenterology and the like in prestigious universities. His school-mates way behind his mathematical abilities who had nevertheless got into engineering now held important positions in high tech academic institutes as well as the corporate sector. 

His parents had by now realized their mistake and come to terms with the fact that their son wouldn’t after all become a medical man even if he’d managed to scrape through medical school. They hoped he’d take up a government medical officer’s job. His cousin was doing well earning hefty bribes signing false post mortem reports. He had already built a bungalow, bought a car.

However Samsara Sen. was made of different fiber. He believed in following his bliss. He had toyed with the idea of appearing again for the technological Institutes entrance exams during his med school days but somehow was then too absorbed with theoretical physics to even bother about a career in engineering. He believed his bliss lay in talking to his beloved numbers…Listening all day to the melodious chatter of mathematics.


What drives us to learn? Is it our jest for reward in the form of feel good food for thought? We learn anything for these food for thought rewards and like animals in a circus seem to be constantly foraging for it.

Sutra