Saturday, July 2, 2022

Bengali translation of "Conscious Notebook" work begins

 After more than a decade of  publishing the English version, we have begun work on translating it into Bengali by someone who has also published novels of his own in Bengali. 

তৃতীয় অধ্যায়


সামসারার গল্প 


এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির মুহূর্তে ফিরে যাওয়া যাক, এতটাই অতীতে যাওয়া যাক, যখন ধূমকেতুসম শুক্রানু ডিম্বানুর গ্রহকে আঘাত হানেনি। সেই ধূমকেতু, সেই গ্রহকে ভালভাবে প্রত্যক্ষ করা যাক। হাজার হলেও এই ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আড়ালে তো এ দুইয়ের পারস্পরিক আঘাত, দুইয়ের মিলন।


সূত্র 


'সামসারা' যার অর্থ বিশ্ব, সে-ই হল  এই গল্পের একমাত্র চরিত্র। সে পড়াশুনায় মোটেও খারাপ ছিল না। যে কেউ  বলবে, সে একজন ব্যতিক্রমী মেধা সম্পন্ন ছাত্র। স্কুলের পড়াশুনা শেষে সে একটি নামী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গেল। এর পিছনে মূল কারণ হল বিশ্ব গণিতে ভাল। গণিতের সংখ্যারা তার সঙ্গে কথা বলে। তাকে চুল ধরে টানে, জল ছিঁটোয়। অসম্ভব রকমের পীড়া দেয়, যখন তাকে একটা কঠিন গাণিতিক সমস্যা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়, যেটি একজন সাধারণ মানের ছাত্রের পক্ষে সমাধান করা একেবারেই অসম্ভব। 

তবে তাকে এসব কঠিন অঙ্ক করতে দিয়ে ঘায়েল করা একেবারেই অসম্ভব। এ ব্যাপারে সে যেকোনও পরিস্থিতিতে বাজি ধরতে রাজি যে এরকম  কঠিন গাণিতিক সমস্যার বেশির ভাগই সমাধান করে ফেলবে।

দুর্ভাগ্যবশত সে ডাক্তারী প্রবেশিকা পরীক্ষায় উতরে গেল। এর মূল কারণ হল সে পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন ভাল ফল করেছে। জীবন বিজ্ঞানে শুধুমাত্র গণ্ডি পার করেছে। বিশ্বের বাবামারা ঠিক করেছে, যেহেতু তার দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, তাকে ডাক্তার হতে হবে। সেইমতো তাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হল। সেখানে প্রচুর খাটাখাটুনি করেও বারবার ফেল করতে লাগল। 

সে আসলে মেডিক্যাল কলেজের বিষয়গুলোর গভীরে প্রবেশ করতেই পারল না। বেশকিছু অতিরিক্ত বছর নষ্ট করে কোনও রকমে পাশ করে একটা মেডিক্যাল ডিগ্রি পেল। তার সহপাঠী ততদিনে পড়াশুনা শেষ করে কবেই বাড়ি ফিরে গেছে। কেউ কেউ বিখ্যাত ইউনিভার্সিটির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেল , কেউ হয়ে গেল প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞ। তার সহপাঠিরা যারা গণিতে কাঁচা ছিল, তারাও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হল। কেউবা কর্পোরেট জগতে, কেউ হয়ে গেল নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক। 

বিশ্বের বাবামা এতদিনে বুঝতে পারল,  তাদের ছেলেটি ডাক্তার হতে পারেনি, সে শুধুমাত্র একটা নামমাত্র মেডিক্যাল ডিগ্রি নিয়ে ফিরেছে। তারা ভাবল এবার ছেলেকে যদি কোনও রকমে একটা সরকারি মেডিক্যাল অফিসারের চাকরি জুনিয়র দেওয়া যায়, তাদের এক ভাগ্নে সরকারি ডাক্তার হয়ে মিথ্যে তথ্যে ভরা পোস্ট মোর্টেম রিপোর্টে সাক্ষর করে বাহাতে প্রচুর অর্থ রোজগার করছে। বাড়ি, গাড়ি, বাংলো সব করে ফেলেছে। সেও তা পারবে।

সামসারা সেন কিন্ত ভিন্ন ধাতুতে গড়া। তার মাথায় মেডিক্যাল স্কুলে পড়াকালীন সেই স্বপ্ন ঘুরপাক খেত। সে আজও বিশ্বাস করে তার জীবনের উন্নতির সোপান সেই গাণিতিক সংখ্যাগুলোর মধ্যেই বিরাজ করছে।

More about the translator in the link below :

Original English version below :


Chapter 3




Story of Samsara


To come back again to the beginning of time, even before the sperm comet hit our ovum planet, let’s take a look at the source of our comet and planet. After all, the universe is just a collection of narrative matter strung together by time. –

Sutra



Samsara, which means the universe, is only one of the characters in this story. He wasn’t always bad in academics; in fact one should say he excelled in them. On leaving school, he managed to sail into the best technological institutes in the country, all because he had a way with mathematics. Numbers talked to him. They pulled at his hair, splashed water on him and teased him often sending him into frenzy…more so when he was presented with a problem, which was difficult and impossible for the average student. 

It was off course rare to find him tied down to problems, which he always liked to call challenges, as he would have solved most of them in a jiffy. Unfortunately he also bagged at the same time a seat in medical school as his aggregate in physics and chemistry gave him an edge even if his biology was just passable. His parents decided that as his elder brother was an engineer he had to be a doctor. 

His medical student days were spent in rigorous studies but recurrent failures. He wasn’t actually studying the subjects’ medical school demanded but almost everything else, which included lengthy tomes on theoretical physics, combinatorial chemistry and non-linear dynamics. He took a number of years more than the average medical graduate to pass his finals and barely managed to finish his internship. Most of his batch mates had long finished their residencies and fellowships becoming busy assistant professors of Cardiology, Gastroenterology and the like in prestigious universities. His school-mates way behind his mathematical abilities who had nevertheless got into engineering now held important positions in high tech academic institutes as well as the corporate sector. 

His parents had by now realized their mistake and come to terms with the fact that their son wouldn’t after all become a medical man even if he’d managed to scrape through medical school. They hoped he’d take up a government medical officer’s job. His cousin was doing well earning hefty bribes signing false post mortem reports. He had already built a bungalow, bought a car.

However Samsara Sen. was made of different fiber. He believed in following his bliss. He had toyed with the idea of appearing again for the technological Institutes entrance exams during his med school days but somehow was then too absorbed with theoretical physics to even bother about a career in engineering. He believed his bliss lay in talking to his beloved numbers…Listening all day to the melodious chatter of mathematics.


What drives us to learn? Is it our jest for reward in the form of feel good food for thought? We learn anything for these food for thought rewards and like animals in a circus seem to be constantly foraging for it.

Sutra







1 comment: